চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

কারি পাতায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন বি ,যা চুলের জন্য খুব উপকারি এর একটি জিনিস।এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে তাই এটি চুলের যত্নের জন্য খুব উপকারি পাতা। ভারতীয় উপমহাদেশের রান্নায় এর ব্যবহার বহু শতাব্দী ধরে প্রচলিত এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও এটি সুপরিচিত একটি উপাদান। আমাদের সকল এর খুব উপকার করে এই উপাদান চলুন আমারা আজকে এর খুটিনাটি জেনে নিই,কিভাবে এর ব্যবহার করা লাগবে,তৈরি করা লাগবে।

নিচে বিবরণ সহ সকল কিছু দাওয়া হলো,তা মনযোগ সহকারে পড়বেন।

কারি পাতার ফলজনক ব্যবহার

উপকরন লাগবে ১ কাপ নারকেল তেল,১০-১৫টি কারি পাতা এরপর  নারকেল তেল হালকা গরম করতে হবে।এতে কারি পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না পাতাগুলো কালো হয়ে যায়।তারপর তেল ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিতে হবে এতে করে এটি পরিশুধ হবে।এবার  চুলের গোড়ায় ও স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন এবং ১-২ ঘণ্টা রাখুন, তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এর ফলে আপনি অনেক উপকার পাবেন ।যা আপনার জন্য একটি চমক হয়ে দারাবে।চুল পড়া কমাবে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।যা আপনার সমস্যার কারনে অসুস্থ মন কে ভালো করে তুলবে।
 

জেনে নেই কারি পাতা ও মেথি পেস্ট কিভাবে তৈরি করতে হয়

এর জন্য প্রথমে লাগবে ১০-১২টি কারি পাতা,২ টেবিল চামচ ভেজানো মেথি এর পর আমারা পদ্ধতি প্রয়োগ করি শুরুতেই আমরা কারি পাতা ও মেথি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানাবো,তারপর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০-৪৫ মিনিট রাখব এতে করে আমরা আমাদের কাঙ্খিত ফলাফল পাব। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে আলত ভাবে ।যাতে করে চুল এর কোন সমস্যা না হয়। এরকম ভাবে প্রয়োগ করলে সকল কিছুর সুন্দর মতো সমাধান হবে।

কারি পাতা ব্যবহার এর কিছু টিপস  

  • সপ্তাহে ২-৩ বার নিয়মিত কারি পাতার তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন ।
  • চুলের ধরন বুঝে দই, মেথি বা অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন।
  • নিয়মিত ব্যবহারে ২-৩ মাসের মধ্যে ফল পাবেন।যা আপনারা নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারবেন।

কারি পাতা ব্যাবহার এর সুবিধা

  •  চুল পড়া কমায়

কারি পাতাতে থাকা ভিটামিন বি, সি, আয়রন এবং প্রোটিন চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে সক্ষম হয়।

  •  নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে

কারি পাতাতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলের বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে তুলে। 

  • অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করে

আমাদের প্রায় অনেক এর সমস্যা যে আমাদের অল্প বয়স চুল পেকে যায় তারা চাইলেই এটি ব্যবহার করতে পারে ।এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা চুলকে অকালে পাকা হওয়া থেকে রক্ষা করে।

  • স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

কারি পাতা ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং দ্রুত স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।

  • চুল নরম করে ও উজ্জ্বল করে

নরম চুল এর প্রতি আমাদের সবার ই কম বেশি একটা আগ্রহ  থাকে এতে  থাকা প্রাকৃতিক তেল চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে, ফলে চুল হয়ে ওঠে নরম ও ঝলমলে।

  •  চুলের শিকড় মজবুত করে

এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে, ফলে চুল শক্তিশালী হয় এবং সহজে ভাঙে না।


কারি পাতার বাজার মূল্য


কারি পাতার বাজার মূল্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।যেমন: স্থানীয় বাজার, মৌসুম, এবং সরবরাহ,অনলাইন মাধ্যম । সাধারণত, কারি পাতা তাজা অবস্থায় স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১০০-২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে। তবে, এই দাম সময় ও স্থানের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। 

আরো পড়ুন : বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম


আপনারা চাইলে এখানে থেকে ও দেখে আসতে পারেন। এখানে গিয়ে সার্চ অপশানে গিয়ে লিখবেন যে কারি পাতা তাহলে সকল রক্ম বিষয় তুলে ধরবে ।আপনি সেখান থেকে সহজেই নিতে পারবেন।


কারি পাতা সম্পর্কে লেখকের  মন্তব্য

কারি পাতা শুধু রান্নার স্বাদ ও সুগন্ধ বৃদ্ধির জন্যই কিন্ত নয়, এটি চুল ও ত্বকের যত্নসহ স্বাস্থ্য রক্ষায়ও অত্যন্ত কার্যকরি । প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কারি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে, বিশেষ করে  চুলের যত্নে এটি এক অনন্য উপাদান।

আমার মতে, প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চাইলে কারি পাতা একটি দুর্দান্ত সমাধান হতে পারে আপনার জন্য। এটি চুল পড়া কমানো, নতুন চুল গজানো, অকালে পাকা প্রতিরোধ এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ঘনত্ব ও উজ্জ্বলতা বাড়ে, যা বাজারের রাসায়নিকযুক্ত চুলের প্রসাধনীর তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ ও কার্যকর।এই উপকার গুলোর থেকে বেশি আমাদের আর কি বা চাই ।তবে, যেকোনো ভেষজ উপাদানের মতোই এটি ধৈর্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে, কারণ প্রাকৃতিক চিকিৎসার ফলাফল সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় ,যা আমাদের সমস্যা দূর করে দেয়। তাই, যারা চুলের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চান, তাদের জন্য কারি পাতা এক অপূর্ব উপহার।এবং সকল নিয়ম মেনে ব্যাবহার করবেন এতে করে এই সকল সমস্যা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না আপনাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিভার্সাল এটুজেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url