নিম পাতার উপকারিতা ও ব্যবহার এর ৫ টি টিপস
নিম পাতা তার ঔষধি গুণের জন্য বহুকাল ধরে মানবদেহে নির্মাতার ব্যবহার বিভিন্ন ভাবে করা যায় ত্বকের যত্নে ব্রণ ও খুশকি দূর করতে চুলের যত্নে বিভিন্নভাবে। আপনারা সকলেই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দাঁতের যত্নে পর্যন্ত এই নিম পাতার ব্যবহার করা হয় নিমের গাছের ডাল আমরা দাঁত মাজার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি, নিম গাছের গুনাগুন অনেক ,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিমপাতা অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস। পাতা ব্যবহারের ফলে অনেক রোগ থেকে মানুষ মুক্তি পায়। নিমপাতা আমাদের দেহের এবং পরিবেশের অনেক উপকার করে থাকে। চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করব এবং উপকৃত হব।
ত্বকের যত্নে নিমপাতার ব্যবহার
আমাদের বিভিন্ন বয়সসীমায় ফুসকুড়ি কিংবা ব্র্যান্ড হয়ে থাকে। এগুলো সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্ন উপায় খুঁজে থাকি, কিন্তু সমাধান আমাদের ভিতরেই আছে ,প্রাকৃতিকভাবে আমরা এই সমাধান করতে পারি। আমাদের শরীরে ব্রণ বা ফুসকুড়ি যদি হয় তাহলে নিম পাতা বেটে অথবা নিম পাতা ফুটানো কুসুম পানি মুখে লাগালে ব্রণ কমে যাবে। অপরদিকে আমাদের কারো চুলকানি কিংবা ফুসকুড়ি হয় তাহলে নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে ক্ষতস্থানগুলোতে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে করে খুব দ্রুত ক্ষতস্থান শুকিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে।
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
চুল পড়ার সমস্যা আমাদের কমবেশি অনেকেরই আছে। আমরা বুঝতে পারি না কিভাবে এর সমাধান করব, চলুন আজকের এই পোস্টে আমরা জেনে নিই কিভাবে আমরা এর সমাধান করব। খুশকি প্রতিরোধে আমরা বিভিন্নভাবে সমাধান কিন্তু নিমপাতা যদি আমরা গরম করে আমাদের চুল ধুয়ে নেই তাহলে খুশকি কমে যাবে।বাহ কত দ্রুত এর সমাধান হয়ে গেল। চুল পড়া কমাতে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তেল ইউজ করি, চুল পড়া কমাতে সরিষার তেল কিংবা নারিকেল তেল অত্যন্ত কার্যকরী একটি তেল। কিন্তু অন্য দিকে আমরা নিম পাতা ও নারিয়াল তেলের মিশ্রণ যদি ত্বকে ব্যবহার করি তাহলে চুলের গোড়া মজবুত হবে তাহলে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
মুখ,দাঁতের ও রক্ত পরিশোধনে নিম
আমরা নিত্যদিনে আমাদের দাঁত পরিষ্কার করি , অধিকাংশ লোক আমাদের মধ্যে ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করি। কিন্তু আমরা যদি নিমের ডাল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করি তাহলে দাঁতের গোড়া মজবুত হবে এবং দাঁত খুব যত্ন সহকারে পরিষ্কার হবে। চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে নিম দিয়ে সকালবেলা নিজেদের তৈরি করব। আমরা নিমের ডাল দিয়ে নিজেদের দাত পরিষ্কার করব, এরপর নিমপাতার রস করার পর কুলি-কুচি করব। এতে করে আমাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, পুরো দিন আমরা নিজেদের সতেজ রাখতে পারব। নিম পাতার ব্যবহার আমাদের রক্ত পরিশোধ করতে সক্ষম করে। যার ফলে আমাদের শরীরে চুলকুনি,খুশকি বাসা বাধতে পারে না। তাই আমরা নিয়মিত নিমপাতা এবং নিমের ব্যবহার করব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতা
কার একটি বহুল আলোচিত রোগের নাম ডায়াবেটিস । আমাদের দাদী নানিদের এই রোগ ধরে থাকে অর্থাৎ বয়সকদের । তাদের নিমপাতা ব্যবহার করা উচিত কারণ নিম পাতার রসে রক্তে শর্করতা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যার ফলে ডায়াবেটিস আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিম পাতার উপকারিতা
আমরা নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানলাম, চলুন এখন আমরা জেনে নেই কিভাবে এর থেকে উপকার পাওয়া যায় এবং কিভাবে এই উপকার পেলাম। উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন ব্যবহার বাদেও নিত্যদিনের বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা নিম পাতার ব্যবহার করতে পারি। আমাদের জানা-অজানা বিভিন্নভাবে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে আমরা বিভিন্নভাবেই এর সহযোগিতা প্রতিদিন নিয়ে থাকি। নিমপাতার তিক্ত সাধ থাকলেও এটি মানুষের জন্য বহু উপকার বয়ে আনে।
আরো পড়ুন ঃবাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চর্মরোগ প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ,কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার , মলমূত্র সংক্রমণ দূরীকরণ ,চুলের যত্নে নিম পাতা ,মশা ও পোকামাকড় প্রতিরোধে নিমপাতা। নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একজিমা ফোড়া ও চুলকানির মত চর্মরোগ নিরাময় নিম পাতা অত্যন্ত কার্যকর তা আপনারা পূর্বেই প্রমাণ পেয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ এই কৃষি প্রধান দেশে কৃষকরা তাদের জমি চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পোকামাকড় আক্রমণ শিকার হয় ,এক্ষেত্রে তারা নিমপাতা কে ব্যবহার করতে পারে ।নিম পাতা কীটনাশক হিসেবে খুব কার্যকরী উপকার দিবে। নিম পাতা ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে তারা এভাবে যদি আমরা নিম পাতার ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের প্রায় নিত্যদিনের সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যাবে।
লেখক এর মন্তব্য
নিম পাতার বহুবিধ উপকারিতার কারণে এটি আমাদের প্রতিদিনের জীবনের ব্যবহারের উপযোগী। আধুনিক চিকিৎসা থেকে প্রাচীন চিকিৎসা সকল ক্ষেত্রে নিম পাতার উপকার বিদ্যমান। আমরা বয়স চোদ্দোর কোঠা পেরোতে সকলেরই চুলকুনি কিম্বা চর্মরোগ হয়ে থাকে, আমরা কখনো না কখনোই অবশ্যই নিম পাতা ব্যবহারের ফলে এর উপকার পেয়েছি। নিম গাছ একটি পরিবেশবান্ধব গাছ। এটি আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি গাছ । আমরা শুধু পাতার উপকারিতা জানতে চায় না। এর ঔষধি গুন এর কৃষি প্রসাধনী ও গৃহস্থালী ব্যবহারের দিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই চলুন আমরা সকলেই নিম পাতার ব্যবহার করি এবং জীবনকে সহজ করে তুলি।জীবঙ্ক্র সঠিক ভাবে, কাঠামোবদ্ধ ভাবে গড়ে তুলতে হবে আমাদের এই সমাজকে তাই আমাদের সমাজকে পরিবেশবান্ধব করতে হবে আর সমাজ কে পরিবেশ বান্ধব করতে গেলে নিম গাছের ব্যবহার করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে নিম গাছ রোপণ করতে হবে। তাহলে আমাদের পরিবেশে কখনো অক্সিজেনের সংকট করবে না আমাদের শরীর মন সকল কিছু সুস্থ থাকবে।
ইউনিভার্সাল এটুজেড এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url